ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যুপুরী গাজা, তবে প্রতিবাদে সোচ্চার বিশ্বের অনেকেই। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তো বটেই; এই বর্বরতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন আরব দেশও। কিন্তু গাজা ইস্যুতে রহস্যজনকভাবেই উপসাগরীয় দেশগুলোর তুলনায় ইসরায়েলের প্রতি নমনীয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আব্রাহাম অ্যাকর্ডের আওতায় কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের পর থেকেই; তেলআবিবের সাথে সামরিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে আবুধাবি। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পরও বন্ধ হয়নি সেই বাণিজ্য। ফ্রান্স ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা— ইন্টিলিজেন্স অনলাইনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরও ইসরায়েলের ইলবিত সিস্টেমের সাথে গোপনে বিপুল অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে আমিরাত।
গত নভেম্বরে, ইলবিত দাবি করে একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারের সঙ্গে দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে তারা। নাম প্রকাশ না করলেও তারা জানায় এই চুক্তির মেয়াদ আট বছর। তবে ইন্টিলিজেন্স অনলাইনের দাবি, এই চুক্তি হয়েছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক ও বেসামরিক আকাশযানের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক ডিফেন্স সিস্টেম কিনতেই এ চুক্তি। যা পরিচিত জে মিউজিক এয়ারক্রাফট প্রোটেকশন সিস্টেম নামে। মূলত, লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে আকাশযান লক্ষ্য করে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয়ে ব্যবহৃত হয় এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
গোপন চুক্তি বা ইন্টিলিজেন্স অনলাইনের প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ সংযুক্ত আরব আমিরাত। মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের ইলবিত সিস্টেমসও।

