মস্কো শিগগিরই হামলা চালাতে পারে পশ্চিমাদের এমন দাবি নাকচ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি পশ্চিমাদের এসব বক্তব্যকে “মিথ্যা ও আজগুবি” আখ্যা দিয়ে বলেন, ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক ও উন্মাদনা বাড়াতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কথা বলা হচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত বোর্ড সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো “উত্তপ্ত” এবং কিছু অঞ্চলে তা “চরম সংকটপূর্ণ।” তিনি অভিযোগ করেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আক্রমণাত্মক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে “একটি বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি” নিচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে অনিবার্য সংঘাতের গল্প শুনিয়ে নিজেদের জনগণকে “ব্রেনওয়াশ” করছে।
পুতিন বলেন, “আমি বারবার বলেছি—ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কল্পিত রুশ হুমকির কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আজগুবি—খাঁটি বাজে কথা। কিন্তু এটি খুব সচেতনভাবেই করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা তাদের “দায়িত্ব ভুলে গেছেন” এবং স্বল্পমেয়াদি ব্যক্তিগত বা যৌথ রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইতিহাসজুড়ে এমনটি সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও—রাশিয়া সবসময় সংঘাত ও বিরোধের কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছে, যতক্ষণ না সামান্য সম্ভাবনাও ছিল।
পুতিন বলেন, “এই সুযোগগুলো কাজে না লাগানোর সম্পূর্ণ দায় তাদেরই, যারা মনে করেছিল শক্তির ভাষায় আমাদের সঙ্গে কথা বলা যাবে।”
রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে “পারস্পরিক উপকারী ও সমান সহযোগিতা,” পাশাপাশি ইউরেশীয় অঞ্চলে একটি অভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠনের পক্ষে রাশিয়া। তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইউরোপের অধিকাংশ দেশের বর্তমান নেতৃত্ব সম্পর্কে এমন কথা বলা যায় না।”
পুতিন আরও বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ এবং কৌশলগত ভারসাম্যের প্রধান নিশ্চয়তা হিসেবে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীই রয়ে গেছে।

