spot_img

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচের বন্দুকধারী ভারতীয়: পুলিশ

অবশ্যই পরুন

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির বন্ডাই বিচের গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনের মধ্যে একজন ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছেন, তবে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ খুবই কম ছিল।

ওদিকে রোববারের ওই গুলির ঘটনায় নিহতদের প্রথম শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে আর আহত ২১ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম (৫০), রোববার সিডনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। তিনি ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। ভারতীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা এটি জানিয়েছেন।

তবে ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকে তিনি এ পর্যন্ত মাত্র ছয়বার ভারতে আসা যাওয়া করেছেন। তার পরিবারের ‘তার উগ্রবাদী চিন্তাধারা বা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাজিদ এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ ১৫ জনকে হত্যা ও আরও কয়েক ডজন মানুষকে আহত করার ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন।

ওই ঘটনার পর পুলিশ বলেছিল, বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকাহ উদযাপন শুরু উপলক্ষে চলা অনুষ্ঠানে হামলাটি হয়েছে এবং তারা এটিকে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সাজিদ আকরামের পরিবার ভারতেই যেই হায়দ্রাবাদ শহর ভিত্তিক সেটি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী।

তেলেঙ্গানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিবিসি তেলেগু সার্ভিসকে বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পর সাজিদ ছয়বার ভারত সফরে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত ও বয়স্ক বাবা-মায়ের সাথে দেখা করার মতো পারিবারিক কারণ তিনি এসেছিলেন”।

“তবে তিনি তার পিতার মৃত্যুর সময়েও আর ভারতের আসেননি,” ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

“সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে কী কারণে উগ্রপন্থায় জড়িয়েছেন তার সাথে ভারত কিংবা তেলেঙ্গানার স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র নেই”।

ওই কর্মকর্তা এও জানিয়েছেন যে, সাজিদ আকরামের ভারতে অপরাধ সংঘটনের কোনো রেকর্ড নেই। তিনি তার ডিগ্রি শেষ করার পর কাজের সন্ধানে অস্ট্রেলিয়ায় যান এবং পরে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত এক নারীকে বিয়ে করেন।

সাজিদ আকরাম ভারতীয় পাসপোর্টধারী ছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়ার তার সন্তানরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টধারী ও দেশটির নাগরিক।

পুলিশ এখন অনুসন্ধান করে দেখছে যে কেন পিতা ও পুত্র বন্ডাই বিচে হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে ফিলিপিন্স গিয়েছিলেন।

দেশটির ইমিগ্রেশন ব্যুরো বিবিসিকে বলেছে, তারা পহেলা নভেম্বর সেখানে পৌঁছান এবং ২৮শে নভেম্বর সেই দেশ ত্যাগ করেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে তার ছেলে ব্যবহার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিচিতি।

নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বা এবিসি বলেছে, ‘সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ’ নেয়ার জন্য ওই দুজন দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন। তবে এই রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেননি কর্মকর্তারা।

ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া থেরেসা লাজারো ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি অং বন্ডাই বিচে গুলির ঘটনার তদন্তের বিষয়ে পারস্পারিক তথ্য বিনিময়ে একমত হয়েছেন। লাজারো সংবাদমাধ্যমে দেয়া বার্তায় এটি জানিয়েছেন।

এবিসি বলছে, নাভিদ আকরাম এর আগে সিডনি ভিত্তিক একটি টেররিজম সেলের সাথে যোগসূত্রতার বিষয়ে তদন্তের আওতায় এসেছিলেন।

চরমপন্থি ইসলামি গোষ্ঠী আইএস ২০১৫ সালে প্যারিস হামলাসহ ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, নাভিদ আকরাম “অন্যদের সাথে যোগসূত্র থাকার ভিত্তিতে ২০১৯ সালে প্রথম কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিলেন”।

তবে সেই সময় যে পর্যালোচনা করা হয়েছিলো তাতে কোন হুমকি বা সহিংসতায় তার জড়িত হাবার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ সংবাদ

রোমাঞ্চ নিয়ে আবারও পর্দায় ‘ফলআউট’

দীর্ঘ অপেক্ষার পর জনপ্রিয় সিরিজ ‘ফলআউট’ এর দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পেয়েছে। তবে দর্শকদের জন্য চমকপ্রদ খবর হলো, প্রত্যাশার চেয়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ