বলিউড অভিনেতা সালমান খানের প্রতিষ্ঠান ‘বিয়িং হিউম্যান’ একটি শিশুর হার্টে ছিদ্রের অস্ত্রোপচারের সমস্ত খরচ বহন করেছিল, যা শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসার একটি উদাহরণ, যেখানে সে তার জীবন ঝুঁকির মুখে থাকা সত্ত্বেও এই কাজটি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
এই তো সেদিন সালমান খানকে খুনের হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। নিজের জীবন যখন ঝুঁকির মুখে, ঠিক সেই সময় এক কিশোরের প্রাণরক্ষা করেন সালমান। এগুলো যে মেকি নয়, তার চাক্ষুষ হলাম জেদ্দায় চলা রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।
২৫ বছরে একবারও ডিনারে যাননি ভাইজান! সাফল্যের আড়ালে সালমান খানের একাকীত্বের গল্প২৫ বছরে একবারও ডিনারে যাননি ভাইজান! সাফল্যের আড়ালে সালমান খানের একাকীত্বের গল্প
১১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় উৎসবে আসবেন সালমান। নিরাপত্তারক্ষী আর বাউন্সার তটস্থ। সালমান যখন প্রবেশ করলেন, রাস্তায় যেন কেউ ঘেঁষতে না পারে তা নিয়ে তাঁদের ব্যস্ততার শেষ নেই। ঠিক সেই মুহূর্তেই ১০–১১ বছর বয়সী এক বাচ্চা চলে আসে সামনে। ব্যস, এক মুহূর্তেই থেমে যান ভাইজান এবং আদর করেন। মা কাছে এগিয়ে এলে তাঁর সঙ্গেও কথা বলে বাচ্চাকে তাঁর হাতে তুলে দেন। প্রবেশপথের সংক্ষিপ্ত সে যাত্রায় আরও এক শিশুকে ভালোবাসায় কোলে তুলে নিয়েছিলেন এই বলিউড সুপারস্টার।
পত্রিকায় পড়া অজস্র উদারতার কথা আরও একবার চোখের সামনে যেন হাজির হলো! এর বাইরেও সালমান ছিলেন একেবারে নিজের মেজাজে। তাকালেন, হাসলেন, ভক্তদের দিলেন সালাম।
এদিন সালমান দর্শকদের সামনে ‘ইন কনভার্সেশন’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একই সময়ে আয়োজনে উপস্থিত হন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ।
সালমান খান উৎসব আয়োজনে পরেছিলেন নেভি নীল রঙের স্যুট, তার সঙ্গে মানানসই শার্ট। অন্যদিকে, জনি ডেপ হাজির হন ধূসর স্যুট ও গাঢ় রঙের শার্টে, গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে তৈরি করেন নিজস্ব স্টাইল। দুজনের এমন উপস্থিতিতে লোহিত সাগরের তীরে যেন তারকাখচিত এক আলাদা আবহ তৈরি হয়।
উৎসবে সালমান খানের ব্যস্ততা এখানেই শেষ হয়নি। তিনি মঞ্চে উঠে অভিনেতা ইদ্রিস এলবাকে রেড সি অনারি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। এলবাকে স্বাগত জানাতে সালমানের আন্তরিকতা ছিল দেখার মতো।

