সল্টলেক স্টেডিয়ামে ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসিকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চরম অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটে। প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখার আশায় আসা হাজার হাজার ভক্ত হতাশ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রকাশ্যে লিওনেল মেসি ও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, সল্টলেক স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে, তাতে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত ও স্তম্ভিত। তিনি নিজেও মেসিকে দেখার জন্য স্টেডিয়ামে যাচ্ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
মমতা ব্যানার্জি লেখেন, “আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থা দেখা গেছে, তাতে আমি স্তম্ভিত ও মর্মাহত। এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য আমি মেসি এবং সব ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে ক্ষমা চাইছি।”
ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায় নির্ধারণে রাজ্য সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কমিটি ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখে দায়ীদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে সুপারিশ দেবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের সময় স্থানীয় কয়েকজন রাজনীতিবিদ মেসিকে ঘিরে থাকায় দর্শকদের মধ্যে প্রথম অসন্তোষ তৈরি হয়। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়া হলে ভক্তদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছে।
ভিডিও ফুটেজে আরও দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে, বোতল ও চেয়ার ছুড়ে মারে। কিছু পুলিশ সদস্যকে ভাঙা চেয়ার দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে ফেন্সিং ভেঙে হাজার হাজার মানুষ মাঠে প্রবেশ করে। কয়েকজন দর্শক মাঠের পাশের তাঁবুতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেন, গোলপোস্টের জাল ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং সাজঘরে যাওয়ার টানেলের ছাউনিও ভেঙে দেয়া হয়।

