যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় কাটছে না মানবিক সংকট। সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে গ্যাসের ঘাটতি। গৃহস্থালী কিংবা হাসপাতালের জরুরি সেবা, তাপের মাধ্যমে শীত নিবারণ সবকিছুই এখন থমকে যাওয়ার পথে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় প্রবেশের কথা ছিল ৬৬০টি জ্বালানীবাহী ট্রাক। কিন্তু ঢুকতে পেরেছে মাত্র ১০৪টি।
সরকারের দাবি, গাজায় সিলিন্ডার গ্যাস বিতরণ করা হচ্ছে নিবন্ধিত পরিবারগুলোয়। ফলে বরাদ্দ পেয়েছে মাত্র ২ লাখ ৫২ হাজার পরিবার। অথচ প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল অন্তত ৪ লাখ ৭০ হাজার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যহতের শঙ্কা বাড়ছে। গাজার মানুষ যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছে প্রতিদিন। এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে মানবিক করিডর না খুললে গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়বে।

