শেখ হাসিনার বিচার মানেন না বলে মন্তব্য করা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য না দিতে ফজলুর রহমানকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আল্লাহর পরেই আদালতকে সম্মান করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ। অন্যদিকে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা।
সশরীরে হাজির হওয়ার আগেই, গত ৩ নভেম্বর লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চান বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ট্রাইব্যুনালের বিচারিক এখতিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন ফজলুর রহমান। বিচারে ‘অভ্যন্তরীণ বন্দোবস্ত’ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রসিকিউশন প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্যও করেন। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে গত ২৬ নভেম্বর অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
গত ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ফজলুর রহমানকে তলব করে আজকের দিন নির্ধারণ করেন। তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ হয়ে এখন বিএনপিতে রয়েছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

