পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এর আগে ইমরান খান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এরপরই সেনাবাহিনী এ ধরনের মন্তব্য করেছে।
গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র, লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কারাগারে বন্দি ইমরান খান বাইরে থেকে যোগাযোগের সুযোগ নিয়ে এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সশস্ত্র বাহিনীকে আক্রমণ করেন, যা দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তিনি ইমরান খানকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, তার মতে, যদি আমি ক্ষমতায় না থাকি, তাহলে কিছুই থাকতে পারবে না।
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, যারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান, তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষ ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছেন। দুই দিন আগে ইমরান খানের বোন উজমা খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন।
সাক্ষাৎ শেষে উজমা খান জানান, সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের নীতি নিয়ে ইমরান খানের ক্ষোভ রয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ৭৩ বছর বয়সী ইমরান খান কারাগারে বন্দি আছেন। গত কয়েক সপ্তাহে তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে পিটিআই বিক্ষোভের ডাক দিলে ইমরান খানের বোন উজমা খানকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
৩ ডিসেম্বর, ইমরান খান তার এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি বলেন, অসীম মুনিরের নীতি পাকিস্তানের জন্য ক্ষতিকর। তার এসব নীতির কারণে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, যা আমাকে উদ্বিগ্ন করে। তিনি পাকিস্তানকে নিয়ে চিন্তা না করে শুধুমাত্র পশ্চিমা শক্তিদের খুশি করতে এসব করছেন।
ইমরান আরও অভিযোগ করেন, অসীম মুনির প্রথমে আফগানদের হুমকি দিয়েছেন, এরপর পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের বের করে দিয়েছেন এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটছে।
তিনি অসীম মুনিরকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তানের সংবিধান এবং আইনকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে নৈতিকভাবে তিনি দেউলিয়া হয়ে গেছেন।
ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের নির্দেশে ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
সূত্র: আরব নিউজ

