এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এর প্রভাবেই বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত সতর্ক অবস্থান নেওয়ায় বাজারের গতিতেও প্রভাব পড়েছে। খবর রয়টার্স।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জিএমটি সময় বেলা ১১টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪,১৯৯.০৬ ডলারে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণ ফিউচারও ০.১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে আউন্সপ্রতি ৪,২২৯ ডলারে লেনদেন হয়।
অ্যাকটিভট্রেডসের বিশ্লেষক রিকার্ডো এভানজেলিস্তা বলেন, “আগামীকাল (শুক্রবার) প্রকাশিত হতে যাওয়া পিসিই মূল্যস্ফীতি সূচকের আগে স্বর্ণবাজারের ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। শেয়ারবাজারে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ায় স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী গতি সীমিত হয়েছে।”
স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও পতনের ধারা দেখা গেছে। রুপার দাম ১.৭ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৫৭.৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যদিও বুধবার রুপার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫৮.৯৮ ডলারে পৌঁছেছিল।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত রুপার দাম বেড়েছে ১০১ শতাংশ। বাজার থেকে তারল্য সরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের দিকে প্রবাহিত হওয়া, রুপাকে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খনিজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা—এই সব কারণেই রুপার বাজারে শক্তিশালী উত্থান দেখা যাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স

