নামের পাশের গোলমেশিন তকমা নিয়ে যে গতিতে ছুটছিলেন আর্লিং হলান্ড, তাতে রেকর্ডটি সত্যি বলতে হওয়ারই ছিল। তবে, ৯৯-এ এসে হঠাৎ যেন একটু ছন্দপতন হয়; প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ও সব মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোলহীন থাকেন তিনি। প্রতীক্ষার প্রহর অবশেষে ফুরাল। ফুলহ্যামের জালে শুরুর দিকেই বল পাঠিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরি করলেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।
প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে শত গোলের মাইলফলকে পৌঁছান হলান্ড। বাঁ দিক থেকে জেরেমি ডোকুর পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে, প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নতুন রেকর্ডটি গড়েন তিনি।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১০০ গোল করতে হলান্ডের লাগল ১১১ ম্যাচ। আগের দ্রুততম শত গোলের চেয়ে তার ১৩ ম্যাচ কম লাগল; ১২৪ ম্যাচে পূর্বের রেকর্ডটি গড়েছিলেন অ্যালান শিয়েরার।
মঙ্গলবার রাতে তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, কোনোমতে একটি শোধ করল ফুলহ্যাম। বিরতির পর প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল করল ম্যানচেস্টার সিটি। চার গোলে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে এরপর ফুলহ্যাম যেভাবে পাল্টা জবাব দিল, অসাধারণ। শেষ পর্যন্ত যদিও ফেভারিটদের আটকাতে পারেনি তারা।
প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয়ার্ধের নাটকীয়তায় ভরা লড়াই শেষে ৫-৪ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল।
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে হলান্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান টিয়ানি রেইনডার্স। এরপর বিরতির আগে-পরে দুটি গোল করেন ফিল ফোডেন। তার জোড়া গোলের মাঝে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে একটি গোল শোধ করেন এমিলি স্মিথ।
আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে পড়ার পরই ফুলহ্যামের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। আলেক্স আইওবি দলের দ্বিতীয় গোল করার পর, কয়েক মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করেন স্যামুয়েল। এরপরও ২০ মিনিটের মতো খেলা হয়, প্রবল চাপ তৈরি করে তারা। কোনোমতে সেই চাপ সামলে জয় নিশ্চিত করে সিটি।
পরিসংখ্যানেও ম্যাচের মোড় বদলানোর চিত্র পরিষ্কার। প্রথমার্ধে আটটি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারা সিটি দ্বিতীয়ার্ধে চার শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। আর প্রথমার্ধে কেবল তিনটি শট নেওয়া ফুলহ্যাম বিরতির পর নেয় আরও ৯টি শট, তাদের মোট ৬টি শট লক্ষ্যে ছিল।১৪ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিটি। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল, একটি ম্যাচ অবশ্য কম খেলেছে তারা।

