সাল ১৯৮৩। শ্রীদেবীর ‘হিম্মতওয়ালা’ সবে মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা জিতেন্দ্র, জয়া প্রদা। সেই সময়ের সুপারহিট ছবি এটি। দুই নায়িকার মধ্যে শ্রীদেবী চর্চায়। পরিচালক রামগোপাল বর্মা সেই সময়ে শ্রীদেবীকে ‘থান্ডার থাই’ তকমা দিয়েছিলেন!
পরিচালকের একটি বই সে সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল, ‘গান্স অ্যান্ড থাইস্’। সেখানে একটি প্রচ্ছদ তিনি শ্রীদেবীকে উৎসর্গ করেছিলেন। নায়িকা তাঁর চোখে স্বর্গের অপ্সরা, অপাপবিদ্ধ। রামগোপালের মতে, নায়িকাকে ছুঁয়ে ‘কলঙ্কিত’ করেছিলেন বনি কপূর! সেখানেই তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রতিভার সঙ্গে নায়িকার সৌন্দর্যও তাঁকে ‘লেডি সুপারস্টার’ হয়ে উঠতে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে তাঁর ‘থান্ডার থাই’ বা ‘বজ্র ঊরু’।
রামুর এই মন্তব্যে ক্ষেপে লাল বনি। পরিচালককে পাল্টা ‘বিকৃতকাম’ আখ্যা দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলিউডের তখনকার প্রযোজক-পরিচালকেরাও। রামু যদিও নিজের বক্তব্যে অনড়।
সাল ২০২৫। সম্প্রতি, আবার সেই প্রসঙ্গ সামনে আনলেন রামু। শ্রীদেবী প্রসঙ্গে তাঁর মনোভাব বদলায়নি, সে কথাও বললেন। কেন প্রতিভার সঙ্গে সৌন্দর্যের যোগ রয়েছে, যুক্তি দিয়ে সে কথাও বুঝিয়েছেন। রামুর কথায়, “অমিতাভ বচ্চন যদি উচ্চতায় খাটো হতেন, কিংবা শাহরুখ খানের উচ্চতা যদি আরও বেশি হত, তা হলে সম্ভবত এত জনপ্রিয়তা তাঁরা পেতেন না। সে রকমই শ্রীদেবীর ‘বজ্র ঊরু’র সৌন্দর্য। ‘হিম্মতওয়ালা’ ছবিতে পরিচালক যা খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছেন।”
রামগোপাল আজও মনে করেন, তিনি তাঁর প্রিয় নায়িকাকে অসম্মান করেননি। তাঁর সম্পর্কে অযৌক্তিক শব্দবন্ধও ব্যবহার করেননি।

