spot_img

নাগরিকবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কার্যকরী ‘ই-অংশগ্রহণ’র উপর গুরুত্বারোপ

অবশ্যই পরুন

জনগণ ও সেবাদাতাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে নাগরিকবান্ধব সেবা নিশ্চিতে ‘ই-অংশগ্রহণ’ ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনেরা। তাদের মতে, সরকারকে অবহিতকরণ, পরামর্শ প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এটি একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে যার ফলে নাগরিক ও সরকারের মাঝে আস্থার সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ই-পার্টিসিপেশন পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক – প্রস্তাবিত’ উপস্থাপন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত ফ্রেমওয়ার্কটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, শীষ হায়দার চৌধুরীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে এমআরডিআই।

ই-পার্টিসিপেশন বৃদ্ধিতে নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করার উপায় নির্ধারণ করতে এমআরডিআই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় দেশের ৭টি বিভাগে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালকদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে এই প্রস্তাবিত ফ্রেমওয়ার্কটি।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঁঞা। প্রস্তাবিত পলিসি ফ্রেমওয়ার্কটি উপস্থাপন করেন ড. অনন্য রায়হান, চেয়ারপারসন, আইসোশ্যাল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বলেন, আইসিটি বিভাগ ই-পার্টিসিপেশন বাস্তবায়নে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে, যার প্রভাব খুব শিঘ্রই দৃশ্যমান হবে।

এমআরডিআই নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান জানান, ৭ বিভাগের অভিজ্ঞতা ও মতামত বিশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি এই নীতিমালা নাগরিকবান্ধব সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

ড. অনন্য রায়হান ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি, ২০২৬-২০২৮ মধ্যমেয়াদি এবং ২০২৬-২০৩৫ দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, মাধ্যম, অংশীজন এবং পরিবীক্ষণ পরিকল্পনা কাঠামো উপস্থাপন করেন।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বলেন, সরকার ও এনজিও দীর্ঘদিন ধরে পৃথকভাবে সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থাপনা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা কার্যকর হলে নাগরিকরা এক প্ল্যাটফর্মে বহুমুখী সেবা পাবেন এবং ই-পার্টিসিপেশন আরও গতিশীল হবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, সরকারের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা প্রধানত শহরকেন্দ্রিক হলেও ই-অংশগ্রহণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবস্থায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করা সহজ হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

৪৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, দেখুন তালিকা

৪৫তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদের ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএস থেকে ৫৪৫ জনকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ