ফিলিস্তিনের তুলনায় ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন ভোটারদের সহানুভূতি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে ‘বিগ ডাটা পোল’ (বিডিপি)–এর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গেছে। জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন ভোটারদের প্রায় ৪০ শতাংশ মনে করেন ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমতুল্য।
২ হাজার ৫ জন নিবন্ধিত ভোটারের সাক্ষাৎকার নিয়ে পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, ২৯.১ শতাংশ বলেছেন, তারা ইসরায়েলের পক্ষে, আর ২১.৪ শতাংশ বলেছেন তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। প্রায় ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা সংঘাতের কোনো পক্ষের প্রতিই সহানুভূতি অনুভব করেন না। বিডিপি এটি “ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে বাড়তে থাকা ক্লান্তি ও বিরক্তির স্পষ্ট ইঙ্গিত” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
“একমাত্র উল্লেখযোগ্য জনমিতি যাদের মধ্যে এখনো ইসরায়েলের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সহানুভূতি রয়েছে, তারা হলেন ৫০ বছরের বেশি বয়সী রিপাবলিকান ভোটাররা,” রোবববার বলেন বিডিপি পরিচালক রিচ ব্যারিস।
বিডিপি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামাস হামলার পরপরই, যেখানে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং যার পর ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু হয়, তখন ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতি ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছিল। এরপর গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিডিপির জরিপে দেখা যায়, নিবন্ধিত মার্কিন ভোটারদের প্রায় ৪০ শতাংশ মনে করেন ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমতুল্য, আর প্রায় ৩০ শতাংশ এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন।
গত মাসে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যার পর ২০২৩ সালের হামলায় বন্দী করা শেষ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের হামাস মুক্তি দেয়, বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করা হয়।

