যুদ্ধ বন্ধে অনেক সহায়তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা দেখায়নি ইউক্রেন। ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জেনেভায় যখন আলোচনায় মার্কিন ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা- তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিয়েভের প্রতি এভাবে ক্ষোভ ঝাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানায়।
ট্রাম্পের অভিমান ভাঙাতে কিছুক্ষণ পরই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এতে, ইউক্রেনীয়দের প্রাণ বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিটি মার্কিনি এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথাও জানান জেলেনস্কি।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সংকেত পাচ্ছি যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল আমাদের কথা শুনছে।
আলোচনা শেষে মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের প্রতিনিধিরা। প্রকাশ করে একটি যৌথ বিবৃতিও।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আজকের আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ ও অর্থবহ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, আমরা দফতরে আসার পর থেকে সম্ভবত এটিই ছিল আমাদের সবচেয়ে কার্যকর বৈঠক ও দিন। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে, যা আমাদের দল এখন করছে।
ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, আমরা ভালো অগ্রগতি করেছি এবং স্থায়ী শান্তির দিকে এগোচ্ছি। ইউক্রেনের জনগণ শান্তি চায়। এটা তাদের প্রাপ্য। আমাদের বড় বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই শান্তির জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
ওয়াশিংটনের আগে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠকে বসে কিয়েভ। যাতে অংশ নেন ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির কূটনীতিকরা।

