spot_img

‘সামাজিক ন্যায়বিচার ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার—এই দুই ইস্যুতে সে কখনো আপস করেনি’

অবশ্যই পরুন

নভেম্বরের শুরুর দিকেই নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক সমাজতন্ত্রী জোহরান মামদানি। তার এই জয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে এবং দেশটির বাম রাজনীতিকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এক বছর আগেও তার নির্বাচনী সমর্থন ছিল মাত্র ১ শতাংশ। সেই অবস্থান থেকে উঠে এসে ভূমিধ্বস জয়—এটি ছিল নাটকীয় এক প্রত্যাবর্তন।

অতিশয় বিস্মিতদের মধ্যে ছিলেন জোহরানের বাবা মাহমুদ মামদানিই! আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সে আমাদের (আমার ও তার মায়ের) জন্য বিশাল চমক ছিল। আমরা কখনও ভাবিনি যে সে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হবে।’

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ ও উপনিবেশ-পরবর্তী রাজনীতি বিষয়ে খ্যাতিমান গবেষক মাহমুদ মনে করেন, তার ছেলের জয় মার্কিন রাজনীতির পরিবর্তিত চিত্রের প্রতিফলন।

নির্বাচনী প্রচারে জোহরান জোর দিয়েছিলেন জীবনযাত্রার ব্যয়সহ নাগরিকদের দৈনন্দিন সমস্যা মোকাবিলায়। পাশাপাশি তিনি ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা থেকেও কখনো পিছিয়ে যাননি—যা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতিতে এড়িয়ে যাওয়া একটি বিষয়।

নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুসলিম মেয়র এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে এই দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

মাহমুদ বলেন, ‘তার কাছে কিছু বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সামাজিক ন্যায়বিচার—এটা এক নম্বর। আরেকটি হলো ফিলিস্তিনিদের অধিকার। এই দুই ইস্যুতে সে কখনো আপস করেনি।’

মাহমুদ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নাইরের সন্তান জোহরান প্রথমবার দৌড়ে এগিয়ে যান গত জুনে, যখন তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতে অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে আসেন। চূড়ান্ত হিসাবে তিনি পান ৫৬ শতাংশ ভোট।

পরে কুয়োমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে লড়াই করলেও আবারও বড় ব্যবধানে হারান জোহরান, যেখানে মামদানি পান ৫০ শতাংশের বেশি ভোট।

যদিও ছেলের জয় তাকে অবাক করেছে, কিন্তু তার অধ্যবসায় ও দৃঢ়তা মাহমুদের কাছে নতুন কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘সে যে জিততে পারে—তা আমরা ভাবিনি। কিন্তু সে যে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে, বিষয়গুলো তুলে ধরবে—তা জানতাম।’

মাহমুদ আরও বলেন, ‘সে ভালোবাসা আর ধৈর্যের মধ্যে বড় হয়েছে। ধীরে চলা মানুষদের সঙ্গে, বয়স্কদের সঙ্গে ধৈর্য ধরে চলতে শিখেছে। আমেরিকান শিশুদের মতো নয়, যারা দাদা-দাদিকে খুব কমই দেখে।’

এই বহুমুখী অভিজ্ঞতাই তাকে মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতা ও গভীর বুঝ উপলব্ধি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন মাহমুদ।

সর্বশেষ সংবাদ

সাভার স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ