spot_img

বিচারক ও নারীর মন বোঝা কষ্টকর: অ্যাটর্নি জেনারেল

অবশ্যই পরুন

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সংবিধান সংশোধন ও মামলার রায় প্রসঙ্গে বলেছেন, “রায় কেমন হবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। বিচারকের মন এবং নারীর মন বোঝা কষ্টকর। কখন কোন দিকে টার্ন নেবে, তা কেউ জানে না। তাই রায় প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কারো পক্ষ বা বিপক্ষের ঝোঁক অনুমান করা সম্ভব নয়।”

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাংলা সাহিত্যে কবি গোলাম মোস্তফার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি আওয়ামী লীগ রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা সেটাও দেখছি।”

তিনি কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আইনগতভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যেই জানা আছে, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই যে কোনো ধরনের কর্মসূচি আইন বিরোধী হিসেবে গণ্য হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আইন নিজস্ব গতিতে চলবে এবং সেভাবেই এগিয়ে যাবে।”

আগামী নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার ওপর এই পরিস্থিতি প্রভাব ফেলবে না বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ইতোমধ্যেই বুঝেছেন, দলবল ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে পালালে অসংখ্য কর্মী অরক্ষিত থাকে। তাই তারা কোনো রিস্ক নেবে তা তারা জানে।”

সংবিধান সংশোধনীর মামলায় আদালতে তার দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে আসাদুজ্জামান বলেন, “গণভোট ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দল গ্রহণ করেছে।” তিনি বলেন, দেশের সংবিধান ও আইন নির্ধারণের ক্ষমতা বিজয়ী শক্তির হাতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭২ সালের সংবিধান, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক গণভোটের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গণভোট ও সংবিধান নির্ধারণের মাধ্যমেই দেশের মানুষ আগামী দিনের পথ দেখাবেন এবং এটি শুধু আইনগত নয়, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ সংবাদ

নোয়াখালীর টানা তৃতীয় হার, এক লাফে শীর্ষে রাজশাহী

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দুই হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেস। কিন্তু মাঠের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ