আলোচনায় পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী। অনুমোদন পেলে তৈরি হবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের পদ। আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষা দেয়া হবে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের। পাশাপাশি, দায়িত্বে থাকাকালীন যে কোনো ফৌজদারী মামলা থেকে দায়মুক্তি পাবেন, সরকার পধান। এছাড়া, একাধিক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে বিচার বিভাগে। শনিবার, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে উপস্থাপন করা হয় সংবিধান সংস্কারের খসড়া প্রস্তাব।
গত মে মাসের ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শেষে ফিল্ড মার্শাল উপাধি দেয়া হয়েছিলো পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে। এবার এই চিফ অব আর্মি স্টাফকে সাংবিধানিকভাবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান করার তোড়জোড় শুরু করেছে শেহবাজ শরিফের সরকার।
এরই মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিলের খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে সংবিধানের ২৪৩তম অনুচ্ছেদের বেশকিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এই সংশোধনী অনুমোদিত হলে, বাতিল হবে সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ। এছাড়াও শীর্ষ কর্মকর্তাদের আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষা দেয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, দেশের পারমাণবিক ও কৌশলগত সম্পদের তত্ত্বাবধানকারী পদ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডারকে সেনাপ্রধানের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করবেন এবং তাকে অবশ্যই সেনাবাহিনীর সদস্য হতে হবে।
দেশটির বিচার বিভাগেও বেশকয়েকটি পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ২৭তম সংশোধনী অনুমোদিত হলে, গঠন করা হবে কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে তা হস্তান্তর করা হবে এই সাংবিধানিক আদালতে। রয়েছে উচ্চ আদালতের বিচারপ্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংশোধনের প্রস্তাবনাও।
এর ফলে, বিশেষ সুবিধা পাবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। দায়িত্বরত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা করা যাবে না। বাতিল হবে আগের মামলাও। এতদিন যে সুবিধা পেতেন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ২৭তম সংশোধনী পাস হতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।

