গত মৌসুমে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার। সেই ফাইনালে ইউনাইটেডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লন্ডনের ক্লাবটি। সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ এসেছিল রেড ডেভিলদের সামনে। কিন্তু প্রতিশোধ নেবে কী, উল্টো যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই রিচার্লিসন গোল করলে হারতে বসেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিয়ে যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে পাশার দান উল্টে দেন ম্যাথিয়াস ডি লিখট।
শনিবার (৮ নভেম্বর) টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনায় ঠাঁসা ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মাঠে ব্রায়ান এমবিউমোর গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে রোমাঞ্চ জাগে টটেনহ্যাম দুই গোল করলে। ম্যাথিস তেলের গোলে সমতায় ফেরার পর যোগ করা সময়ে রিচার্লিসন গোল করলে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাথিয়াস ডি লিখটে হেডে গোল করে ইউনাইটেডকে একটা পয়েন্ট এনে দেন।
ঘরের মাঠের ড্রয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠেছে। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে এমবিউমোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। গোল হজম করায় স্বাগতিক সমর্থকরা তাদের দলকে দুয়ো দিচ্ছিল। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে মাত্র তিনটি জয়, স্পার্স সমর্থকদের ধৈর্য যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু ৮৪ মিনিটে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন ম্যাথিস তেল। গোল করে টটেনহ্যামকে সমতায় ফেরান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে রেড ডেভিলদের স্তব্ধ করে দেন রিচার্লিসন। উইলসন ওদোবেরের শটে পা লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান। গোল করেই জার্সি খুলে উদযাপনে মেতেছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু তার উল্লাসে ভাটা পড়তে সময় লাগেনি।
যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে হেড করে গোল করে ইউনাইটেডের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ডি লিখট। তাতে আমোরিমের অপরাজিত ধারা বেড়ে দাঁড়াল টানা পাঁচ ম্যাচ।

