রাশিয়া থেকে প্রথম ট্রানজিট কন্টেইনারবাহী কার্গো ট্রেন ইরানের এপ্রিন শুল্ক বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে রেলভিত্তিক লজিস্টিক সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংযোগে নতুন একটি মাইলফলক অর্জন করল ইরান। শনিবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম।
ইরান রেলওয়ের বাণিজ্য ও পরিচালনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোর্তেজা জাফারি জানান, মস্কো ওব্লাস্ট থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ১০ দিন ভ্রমণের পর শনিবার (৮ নভেম্বর) ইরানে এসেছে।
তিনি জানান, ট্রেনটিতে প্রধানত কাগজজাত পণ্যবাহী কন্টেইনার ছিল। প্রায় ৬০টি কন্টেইনার নিয়ে আসা ট্রেনের প্রতিটি কন্টেইনারে গড়ে ২৫ টন করে পণ্য ছিল। পণ্যগুলোর একটি অংশ শুষ্ক বন্দর থেকে ইরাকে পাঠানো হবে। জাফারি আরও জানান, বর্তমানে রাশিয়া থেকে গড়ে প্রতি ১০ দিন পরপর একটি করে ট্রেন আসে, তবে খুব শিগগিরই এ যাত্রাবিরতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের হার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
জাফারি বলেন, দেশজুড়ে শুল্ক বন্দর ও লজিস্টিক সেন্টার বিস্তারের পদক্ষেপ ইরান রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এর মাধ্যমে প্রধান সমুদ্রবন্দরের চাপ কমানো, বড় শহর ও পণ্য সরবরাহ কেন্দ্রগুলোর নিকটে লজিস্টিক হাব তৈরি এবং রেলপথে পণ্য পরিবহনের গতি ও দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান রাশিয়াসহ সিআইএস সদস্য দেশসমূহের পাশাপাশি তুরস্ক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সাথে আমদানি-রপ্তানি ও ট্রানজিট বাণিজ্য জোরদার করছে। তেহরানের নিকটে অবস্থিত এপ্রিন ড্রাই পোর্ট বর্তমানে ইরানের সবচেয়ে বড় রেল কার্গো কেন্দ্র, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লজিস্টিক নেটওয়ার্কে কৌশলগত ভূমিকা পালন করছে।

