কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। মূলত শুল্ক-বিরোধী রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চান।
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডকে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ না করতেও করতে অনুরোধ জানিয়েছেন কার্নি। দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কার্নি জানান, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগদানের সময় তিনি ট্রাম্পের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।
বিজ্ঞাপনটি প্রচারের আগে পর্যালোচনা করে তিনি এটি ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ফোর্ডকে বলেছিলাম যে আমি বিজ্ঞাপনটি নিয়ে এগোতে চাই না।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ফোর্ডের কমিশন করা এই বিজ্ঞাপনে রিপাবলিকান আইকন এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের একটি অংশ ব্যবহার করা হয়েছে যা শুল্ক বাণিজ্য যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটায়। এর জবাবে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি কানাডা থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করতে যাচ্ছেন এবং ওয়াশিংটন কানাডার সাথে বন্ধ করে দিয়েছে বাণিজ্য আলোচনা।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ত্যাগ করার সময় ট্রাম্প সেই নৈশভোজে কার্নির সাথে তার “খুব সুন্দর” আলোচনা হয়েছে বলে জানান। তবে, বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
এদিকে চীনের বিষয়েও মন্তব্য করেছেন কার্নি। তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে চলা উত্তেজনার পর শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার আলোচনা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল।
কানাডা এবং চীনের নেতাদের মধ্যে শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি হয়েছিল ২০১৭ সালে যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সান ফ্রান্সিসকোতে এক সভায় শির সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে কানাডিয়ান নাগরিকদের আটক এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। শুধু তাই নয়, কানাডার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে, তাদের কমপক্ষে দুটি ফেডারেল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে চীন।

