পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি পর্নো তারকা যুগল মুহাম্মদ আজিম ও বৃষ্টি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা ও মেহেরা মাহাবুবের পৃথক দুই আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
তারা স্বীকার করেছেন যে, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্নো ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতেন। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতেন। এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদেরও প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতেন তারা।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে ২০ অক্টোবর ভোররাতে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট বান্দরবানের হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
এ সময় পর্নো ভিডিও তৈরির আলামত হিসেবে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পরদিন ২১ অক্টোবর তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক শামীম হোসেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্নো ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতেন। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতেন। এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদের প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতেন তারা।
এই যুগল কেবল নিজেরাই পর্নো ভিডিও তৈরিতে সম্পৃক্ত নয়, অন্যদেরও এ জগতে সম্পৃক্ত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক একটি প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ হয়।

