spot_img

অপরাধ না করলেও অভিবাসীদের বহিষ্কার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টাপাল্টি অবস্থান

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় চার মার্কিন নাগরিক (৪০ শতাংশ) মনে করেন-যেসব অনিবন্ধিত অভিবাসী কোনো অপরাধ করেননি, তাদেরও দেশ থেকে বহিষ্কার করা উচিত। দ্য ইকোনমিস্ট ও ইউগভ পরিচালিত এবং মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিউজম্যাক্সে প্রকাশিত এই জরিপে দেখা গেছে, অন্য ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী উল্টো মত দিয়েছে-অপরাধ না করা অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে দেশে থাকতে দেয়া যেতে পারে। ১৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের কোনো শর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে দেয়া উচিত। আর ৮ শতাংশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

জরিপের ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তনীতি ও অভিবাসন–সংক্রান্ত কঠোর অবস্থান হিতে-বিপরীত হয়েছে এবং অভিবাসীদের পক্ষে মার্কিন জনসমর্থন বেড়ে যাচ্ছে।

তবে ট্রাম্প–সমর্থকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশই মত দিয়েছেন, অপরাধ করেছে কি না—তা আলোচ্য বিষয় নয়, সব অনিবন্ধিত অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা উচিত। বিপরীতে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস–সমর্থকদের মধ্যে এ মতের পক্ষে রয়েছেন মাত্র ১৪ শতাংশ। এদিকে স্বাধীন বা স্বতন্ত্র ভোটাররা পাল্টাপাল্টি মত দিয়েছেন। ৪১ শতাংশ বহিষ্কারের পক্ষে, ৩৯ শতাংশ শর্তসাপেক্ষে থাকার পক্ষে।

অর্থনীতিতেও মার্কিন জনগণের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে। মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছেন, তারা গত বছরের তুলনায় আর্থিকভাবে ভালো অবস্থায় আছেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে মাত্র এক–তৃতীয়াংশ অংশগ্রহণকারী ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেয়ার পক্ষে; বেশিরভাগই সহায়তা বজায় রাখা বা কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে চার লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি অনিবন্ধিত অভিবাসী গ্রেপ্তার হয়েছে।

গত মাসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন এবং চার লাখের বেশি মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে—সব মিলিয়ে ২৫০ দিনেরও কম সময়ে।

এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে ‘রেকর্ড–ব্রেকিং’ আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমের কৃতিত্ব দিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যাল–এ লেখেন,
‘আমার প্রশাসনের অধীনে এফবিআই অসাধারণ কাজ করছে। ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি সহিংস অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে (যা রেকর্ড), ছয় হাজারেরও বেশি অবৈধ অস্ত্র জব্দ হয়েছে, এক হাজার ৭০০ শিশু নির্যাতনকারী এবং ৩০০ মানবপাচারকারীকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ৫,০০০ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এক হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম ফেন্টানিল জব্দ করা হয়েছে-যা ‘১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে হত্যা করার মতো প্রাণঘাতী’।

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত দাবি না ছাড়লে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা নয়: ইরান

যুক্তরাষ্ট্র যতদিন পর্যন্ত তার অতিরিক্ত দাবি থেকে সরে না আসবে, ততদিন তেহরান আলোচনার টেবিলে ফিরে যাবে না। বুধবার (২২...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ