spot_img

শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়নি: আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

অবশ্যই পরুন

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই দায়ী। শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি বলে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শেখ হাসিনাসহ তিনজন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় দিনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি দুই আসামির বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।

আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের সম্পদ এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। লেথাল উইপন বা প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত কল রেকর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে তিন লাখ পাঁচ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়ার তথ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫৪ জন সাক্ষী, নৃশংসতার অসংখ্য ভিডিও ও রেকর্ডিং উপস্থাপন করেছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের দাবি, আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা।

অন্যদিকে, গুমের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আগামীকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশনা রয়েছে। প্রসিকিউশন জানায়, আসামিদের হাজির করা বা গ্রেফতারর দেখানো না হলে ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ীই বিচারকাজ চলবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম. এইচ. তামিম বলেছেন, আসামিরা হাজির না হলে তাদের ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়ার জন্য দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। এরপরও তারা হাজির না হলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা হবে। এছাড়া, তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেবে রাষ্ট্র।

অপরদিকে, আজ ট্রাইব্যুনাল–২-এ আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলা ও জুলাইয়ের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এই রান ডিফেন্ড করতে সাইফ হাসানের ওপর ভরসা রাখেন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ