ইরানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং যে কোনো হুমকি থেকে রক্ষায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিবেশী আরব দেশ ইরাক। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইরান ও প্রতিবেশীদের হুমকির জন্য তাদের ভূমি ও আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানির সঙ্গে তেহরানে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল-আরাজি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর
কাসিম আল-আরাজি বলেন, ‘ইরান বা প্রতিবেশী কোনো দেশকে হুমকির জন্য ইরাক কোনোভাবেই তার ভূমি ও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না। বাগদাদ তেহরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইরাক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে, গেল আগস্টে ইরাক ও ইরান তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা সমন্বয় বাড়ানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
ইরাকের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘ইরাকি সরকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সুসংহত করতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোনো উত্তেজনা রোধ করতে কাজ করছে।’
চলতি বছরের ১৩ জুন ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলির পাশাপাশি সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই সময় ইরাক জানিয়েছিল যে তারা ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণের সময় ইরাকি আকাশসীমা লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব লারিজানি তার পক্ষ থেকে বলেন, ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে তার আলোচনায় নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ। আমরা যদি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতাও জোরদার করতে হবে।’