গাজা উপত্যকায় ফের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস যোদ্ধারা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলিবর্ষণ করে তাদের দুই সেনাকে হত্যা করে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েল গাজায় হামাসের টানেল, অস্ত্রাগার, ফিল্ড কমান্ডারসহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা বিমান হামলা চালায়।
গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে এ হামলায় নিহত হন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের অন্তত ছয় সদস্য। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ব্রিগেডের জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ইয়াহিয়া আল-মাবহুহ।
ইসরায়েল দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি ‘স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন’ করায় তারা হামলা চালাতে বাধ্য হয়। তবে হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাফাহ এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে তারা অবগত নয়।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইসরায়েল সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, হামাসের প্রায় ৪০টি সক্রিয় সেল রয়েছে, যাদের অনেকেই এখনও অস্ত্র জমা দেয়নি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “কিছু সেল হয়তো যুদ্ধবিরতি মানছে, কিন্তু অনেকেই মানবে না।” তিনি উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন হামাসকে নিরস্ত্র করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তিনি সেনাবাহিনীকে ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স

