লেবাননের একটি আদালত হানিবাল গাদ্দাফিকে ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিনে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং তার ওপর বিদেশে যাত্রা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। হানিবাল গাদ্দাফি, প্রয়াত লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির ছোট ছেলে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে বিচারপ্রক্রিয়ার কারণে জেলে ছিলেন।
হানিবালকে ২০১৫ সালে লেবানন সরকার গ্রেফতার করেছিল। অভিযোগ ছিল তিনি লিবিয়ায় ১৯৭৮ সালে প্রখ্যাত লেবানিজ শিয়া নেতা মুসা আল-সাদরের অপহরণ ও গুমের বিষয়ে তথ্য প্রকাশে বাধা দিয়েছেন। আল-সাদর লিবিয়ার তখনকার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং সেই সময় অপহৃত হন, যা লেবাননের জনমনে এখনও গভীর প্রভাব ফেলেছে।
হানিবালের আইনজীবী লরাঁ বায়ন জামিনের সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জামিন চ্যালেঞ্জ করব। তিনি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছেন, ১১ মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পাবেন?’
হানিবালের মুক্তি নিয়ে আল-সাদর পরিবারের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘আজকের জামিনের সিদ্ধান্তে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আল-সাদরের অদৃশ্য হওয়া।’
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও লেবাননকে হানিবালকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে, ২০২৩ সালে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষও তার অসুস্থতার কারণে লেবাননকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ করেছিল।
হানিবাল গাদ্দাফির জামিনে মুক্তি তার দীর্ঘদিনের কারাবাসের শেষ অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। তবে, লেবানন এবং লিবিয়ার মধ্যে আল-সাদরের গুমের সত্য উদঘাটনের প্রশ্ন এখনো অপরিষ্কার।
সূত্র: আল জাজিরা।