spot_img

চীন, তুরস্ক ও ফ্রান্স থেকে ১৩২টি যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

অবশ্যই পরুন

চীন থেকে ৪২টি চেংডু জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনছে পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামাসোয়েদিন জাকার্তায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া শিগগিরই তার সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীন থেকে যুদ্ধবিমান কিনবে।’

এর আগে তুরস্ক থেকে ৪৮টি ‘কান’ যুদ্ধবিমান এবং ফ্রান্স থেকে ৪২টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় দেশটির। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বহরে খুব তাড়াতাড়ি ১৩২টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান যুক্ত হতে চলেছে।

জে-১০ কেনার পরিকল্পনাটি প্রথম গত মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রেগা ওয়েনাস প্রকাশ করেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী এখনও চীনা তৈরি যুদ্ধবিমানগুলো পর্যালোচনা করছে।

বুধবার অর্থমন্ত্রী পূর্বায়া যুধি সাদেওয়া নিশ্চিত করেছেন যে তার মন্ত্রণালয় চীন থেকে বিমান কেনার জন্য একটি বাজেট অনুমোদন করেছে, যার মূল্য ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এপির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর প্রশাসনের অধীনে ইন্দোনেশিয়া তার সামরিক অস্ত্রাগার আপগ্রেড ও আধুনিকীকরণ এবং প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য বিস্তর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে সুবিয়ান্তো বিশ্বজুড়ে পা রেখেছেন। এরই অংশ হিসেবে নতুন সামরিক অস্ত্র ব্যবস্থা, নজরদারি এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনের জন্য চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জুন মাসে এক্স বার্তায় ঘোষণা করেন, তার দেশ ৪৮টি ‘কান’ যুদ্ধবিমান রপ্তানি করবে ইন্দোনেশিয়ায়। এছাড়া গেল বছর জানুয়ারিতে ৪২টি ফরাসি ডাসাল্ট রাফায়েল যুদ্ধবিমানের অর্ডার চূড়ান্ত করে ইন্দোনেশিয়া। এর প্রথম ডেলিভারি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে দেশটি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর বাইরেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ দুটি ফরাসি স্করপিন ইভলভড সাবমেরিন এবং ১৩টি থ্যালেস গ্রাউন্ড কন্ট্রোল ইন্টারসেপশন রাডার কেনার ঘোষণাও দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক বেনি সুকাদিস বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে জোট নিরপেক্ষ হওয়া সত্ত্বেও, সরকারের তার পছন্দের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা সরবরাহকারীদের ওপর কয়েক দশক ধরে নির্ভর করার পর, বেইজিং থেকে একটি বড় অস্ত্র ক্রয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার পরিবর্তন হিসেবে দেখা যেতে পারে।’ বর্তমানে দেশটির কাছে কাছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ব্রিটেনসহ বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের যুদ্ধবিমান রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

দল ঘোষণা আফগানিস্তানের, নেই রশিদ খান

আফগানিস্তানের নির্বাচকরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় একমাত্র টেস্টে অভিজ্ঞ স্পিনার রশিদ খানকে বিশ্রাম দিয়ে দল ঘোষণা করেছেন। টেস্টের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ