মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্নির্ধারণ’ করতে চায় দামেস্কো। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এ কথা বলেন। এই বৈঠকটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন দীর্ঘদিনের ক্রেমলিন-সমর্থিত নেতা বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাশিয়ার আশ্রয়ে রয়েছেন।
ক্রেমলিনে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে পুতিন শারাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তবে বৈঠকের অন্তরালে সিরীয় প্রেসিডেন্টের মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার কাছে আশ্রয় নেয়া আসাদকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তোলা।দুই নেতা রাশিয়ার সিরিয়ায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে তর্তুসের নৌঘাঁটি এবং হমেইমিমের বিমানঘাঁটি। বিদ্রোহী বাহিনীর দখল নেয়ার পর থেকেই এই ঘাঁটিগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে আছে। খবর আরব নিউজের।
দীর্ঘ ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলাকালীন আসাদের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল রাশিয়া, যার সামরিক সহায়তা তার সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছিল।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শারাআ-নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী বাহিনীর অভিযানে আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং এরপর তিনি পরিবারসহ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। গত ১০ মাস ধরে রাশিয়া তাদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
বৈঠকের শুরুতে দেয়া মন্তব্যে শারা বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্কের প্রকৃতি পুনরুদ্ধার এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছি, যাতে সিরিয়া স্বাধীন, সার্বভৌম এবং ভৌগোলিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে স্থিতিশীল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।’