আজ ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’। ২০০৮ সাল থেকে দিনটিকে উদযাপন করা হচ্ছে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে হাত পরিষ্কার রাখার গুরুত্ব তুলে ধরতে।
এবারের বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য— “It Might Be Gloves. It’s Always Hand Hygiene”, অর্থাৎ ‘পরিষ্কার হাত, নিরাপদ জীবন’, ‘সংক্রমণ রোধে নিয়মিত হাত ধোয়া একটি শক্তিশালী অভ্যাস’।
এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, গ্লাভস বা অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ কখনোই হাত ধোয়ার বিকল্প নয়। বরং সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিকভাবে হাত ধোয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ধোয়া একটি ছোট অভ্যাস হলেও এটি অত্যন্ত বড় সুরক্ষা দেয়। পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুলে অনেক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ঋতুভিত্তিক সংক্রমণ প্রতিরোধেও হাত ধোয়ার গুরুত্ব
সঠিকভাবে হাত ধোয়ার নিয়ম
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী, সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া উচিত। খাবার খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, হাঁচি-কাশির পর এবং বাইরে থেকে ফিরে আসার পর হাত ধোয়া জরুরি। যদি পানি না পাওয়া যায়, তবে কমপক্ষে ৬০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্লাভস ব্যবহারের আগেও ও পরে হাত ধোয়া জরুরি।
শিশুদের জন্য হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুকাল থেকেই হাত ধোয়ার অভ্যাস না গড়ে উঠলে পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমে যায়। তাই স্কুলে মজার খেলা, পোস্টার, ইন্টার্যাকটিভ কার্যক্রমের মাধ্যমে হাত ধোয়া শেখানো হলে শিশুরা সহজে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।