বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা আর পুয়ের্তো রিকোর লড়াই ছিল যেন অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। র্যাঙ্কিংয়ে ১৫২ ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লিওনেল মেসিরা খেলেছেন হেসেখেলেই। শেষ পর্যন্ত ছয় গোলের দাপুটে জয়ে (৬-০) মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল বানানোর রেকর্ডটাও নিওজর নামে করে ফেললেন লিওনেল মেসি। ২২ মিনিটে বাতাসে ভাসানো নিখুঁত পাসে গঞ্জালো মন্তিয়েলকে দিয়ে গোল করান মেসি। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল বানানোয় শীর্ষে থাকা নেইমারকে ধরে ফেলেন (৫৯)।
ব্রাজিলিয়ানকে মেসি টপকে যান নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে। লাওতারোকে ব্যাক পাস দিয়ে গোল করান। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল বানানোর রেকর্ড (৬০) এখন মেসির। ভেনেজুয়েলা ম্যাচে বিশ্রাম থেকে দলে ফিরেই রেকর্ড গড়লেন কিংবদন্তি।
২০২৩ সাল থেকে মায়ামির চেজ স্টেডিয়াম লিওনেল মেসির ঘরের মাঠ। সেখানেই তিনি আজকের (বুধবার) ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের একাদশে ফিরলেন। আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করার দৃশ্য গ্যালারিতে বসে দেখেছিলেন এই মহাতারকা। যদিও পুরো হতাশ হতে হয়নি, লো সেলসো-লাউতারোরা ১-০ ব্যবধানে হারান আরেক লাতিন দলকে। গত ম্যাচে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ হয়তো আজ শোধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল লিওনেল স্কালোনির দল!
আলবিসেলেস্তেদের হয়ে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার ও লাউতারো মার্টিনেজ জোড়া এবং গঞ্জালো মন্টিয়েল একটি গোল করেছেন। আরেকটি গোল হয়েছে পুয়ের্তো রিকো ডিফেন্ডার স্টিভেন এচেভেরিয়ার আত্মঘাতি অবদানে। গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। ম্যাচে বল দখল থেকে শট সর্বত্র দাপট দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৬৯ শতাংশ পজেশনের পাশাপাশি মেসি-অ্যালিস্টারদের নেওয়া ২৫ শটের মধ্যে ১১টি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৫ শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পুয়ের্তো রিকো।