spot_img

পাকিস্তানকে ঠেকাতে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে ভারত

অবশ্যই পরুন

বৃহস্পতিবার ভারত সফরে এসেছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। মূলত পাকিস্তানকে রুখতেই যে ভারতে আফগানিস্তানের এই তা দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার বিকেলে দেওয়া ওই যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের কাশ্মীর দখল নিয়ে একটি কড়া ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।

ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে মাত্র ১০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি স্থলসীমান্ত রয়েছে। এটি হলো ওয়াখান করিডোর, যা কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমানে চীনের নজরেও রয়েছে। জয়শঙ্করের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, এই করিডোরটি আফগানিস্তানকে পাকিস্তান কর্তৃক বেআইনিভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে সংযুক্ত করে বলে অভিযোগ করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “একজন সংলগ্ন প্রতিবেশী এবং আফগান জনগণের মঙ্গলকামী হিসেবে, আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভারতের গভীর আগ্রহ রয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করা হচ্ছে এবং কাবুলে ভারতীয় মিশনকে আবার দূতাবাসে উন্নীত করা হবে।”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি জয়শঙ্কর। পাকিস্তানকে ঘিরে আরও একটি পরোক্ষ কটাক্ষ করেন তিনি।তিনি বলেন, “ভারত ও আফগানিস্তান উভয়ই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।”

এই মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ পাকিস্তান সম্প্রতি আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়েছে এবং পাকিস্তান এর পক্ষে যুক্তি দিয়েছে যে, আফগান-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে।

আসলে, জয়শঙ্কর-মুত্তাকি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী কাবুলে বিমান হামলা চালায়, যেখানে তারা দাবি করে ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল’ লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তালেবান মুখপাত্র জানান, “কাবুলে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই… সব কিছু ঠিক আছে, কোনো ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।”

অন্যদিকে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, তার সরকার কখনো ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসবাদে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেবে না। তিনি ভারতের অতীতের সহযোগিতার প্রশংসাও করেন, বিশেষ করে আগস্ট মাসে ভূমিকম্পে ২ হাজার ০০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর সময় এবং কোভিড মহামারিতে ভারতের টিকা সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

মুত্তাকি বলেন, “আমি দিল্লিতে এসে আনন্দিত। এই সফর দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াবে। ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ ও বিনিময় আরও বাড়ানো উচিত।  আমরা আমাদের ভূখণ্ড কাউকে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেব না।”

তিনি আরও বলেন, “আফগানিস্তান ভারতের দিকে বন্ধুর দৃষ্টিতে তাকায় এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়তে চায়। আমরা একটি পরামর্শমূলক বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া তৈরি করতে প্রস্তুত, যাতে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।”

সূত্র: এনডিটিভি

সর্বশেষ সংবাদ

বিচ্ছেদ জল্পনার মাঝেই বিস্ফোরক সুনীতা, “সাত জন্মও গোবিন্দকে স্বামী হিসেবে চাই না”

বলিউড অভিনেতা গোবিন্দকে আর স্বামী হিসেবে চান না, এমন মন্তব্য করে ফের আলোচনায় এলেন তার স্ত্রী সুনীতা আহুজা। দীর্ঘ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ