ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)-এর বিমান বাহিনীর কমান্ডার ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর তার বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেকোনো হুমকি বা আগ্রাসনের জবাবে তারা দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিচার বিভাগীয় সংস্থার প্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ মজিদ মুসাভি জানান, জুন মাসে ইসরায়েল আরোপিত ১২ দিনের যুদ্ধে আইআরজিসি বিমান বাহিনীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে তিনি যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের মূল পদক্ষেপগুলোর কথাও তুলে ধরেন।
তিনি জানান, যুদ্ধ চলাকালে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা হয়েছে এবং বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আল্লাহর কৃপায়, এইসব ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের পর আমরা এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যেকোনো শত্রুর হুমকি বা দুঃসাহসিকতার জবাবে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম।
গত ১৩ জুন, সিয়োনিস্ট শাসন ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উস্কানিতে এক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে, যা ১২ দিন ধরে চলতে থাকে। এই হামলায় ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষ আরও তীব্র করে তোলে এবং নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তাত্ক্ষণিক এবং শক্তিশালী জবাব দেয়। আইআরজিসি মহাকাশ বাহিনী “অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি (সত্য প্রতিশ্রুতি ৩)” এর আওতায় ২২টি পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানি বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতেও (পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি) ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এই সংঘর্ষ ২৪ জুন একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়।
সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি