জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরান ও আঞ্চলিক প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সরাসরি ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করায় তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—ইরাকের কোনো নাগরিকের ওপর হামলা মানে পুরো দেশের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে।
মেহের সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরাজি নুজাবা প্রতিরোধ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি স্যেইদ আব্বাস মৌসাভি বলেন, নেতানিয়াহুর হুমকি ইরাকি জাতি ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে গর্বের বিষয়—কারণ এটি বোঝায়, গত দুই বছরে যে হামলা ও কার্যক্রমগুলো ইরাকি প্রতিরোধ উপযুক্তভাবে সম্পন্ন করেছে, তা প্রচণ্ড ক্ষতিসাধক ও কার্যকর ছিল। তিনি বলেন, ইরাকি প্রতিরোধদলগুলো ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং তারা অনধিকারভিত্তিক ইসরায়েলি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ করেছে।
মৌসাভি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর হুমকিকে প্রথমত ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে দেখা যায়; দ্বিতীয়ত, এই হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবুজ সংকেত’ ছাড়া করা হয়নি—এটি তারা দৃঢ়ভাবে মনে করেন। তিনি জানান, হুমকির প্রয়োগ হোক বা না হোক, এটি ইরাকি ইসলামি প্রতিরোধ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি আঘাত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী জবাব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই হুমকি প্রতিরোধের শক্তি, স্থিতিশীলতা ও সংকল্পকে আরও বাড়িয়ে দেবে; এই হুমকি কখনও প্রতিরোধকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
মৌসাভি বলছেন, নেতানিয়াহুর হুমকি এমন সময় এসেছে যখন প্রতিরোধ আন্দোলনের শিরোপাজাত নেতাদের বিরুদ্ধে ত্যাগ ও শ্রদ্ধার বার্তা জোরদার—বিশেষত শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর স্মৃতিতে সংগঠিত কর্মসূচির প্রভাবে অনুগতরা আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরাসরি সংঘাত হলে প্রতিরোধগোষ্ঠীগুলো আরও অভিজ্ঞ ও দক্ষ হবে; যুদ্ধক্ষেত্রে কিছু মানবিক ক্ষতি ও নেতার শহীদ হওয়া অনিবার্য, কিন্তু তাদের বিশ্বাস—শেষে বিজয় হবে তাদেরই।
সূত্র: মেহের নিউজ