সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে থিয়েত্র দু শাতেলে দেম্বেলের হাতে তুলে দেওয়া হয় বর্ষসেরা ফুটবলারের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার।
২৮ বছর বয়সী দেম্বেলে গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরও ১৪টি। তার নৈপুণ্যে পিএসজি এক মৌসুমেই ঘরে তুলেছে তিনটি শিরোপা—চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ কাপ।
লিগ ওয়ানে ২১ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ—দুটিতেই মৌসুমসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। দেম্বেলের গোলেই পিএসজি পৌঁছেছিল ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে, যদিও শিরোপা হারাতে হয় ইংলিশ ক্লাব চেলসির কাছে।
পুরস্কার জয়ের পর ফরাসি এই তারকা বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি। পিএসজি আমাকে দলে ভেড়ানোর পর সবকিছু পাল্টে গেছে। আমরা প্রায় সবকিছু জিতেছি। এই ট্রফি ব্যক্তিগত হলেও আসলে পুরো দলের জন্যই।’
দেম্বেলের এই সাফল্যে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেরকেও। গত ডিসেম্বর লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে তাকে উইং থেকে সরিয়ে খেলান সেন্টার-ফরোয়ার্ড হিসেবে। এরপর থেকেই গোলের পর গোল করতে থাকেন দেম্বেলে—মৌসুমের শেষভাগে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৩০।
২০১৭ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে দেম্বেলেকে কিনতে বার্সেলোনা ব্যয় করেছিল প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অথচ ২০২৩ সালে মাত্র ৪৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে নেয় পিএসজি—যা এখন প্রমাণিত হচ্ছে দারুণ এক সাফল্য হিসেবে।
১৮ বছর বয়সী ইয়ামাল অবশ্য সান্ত্বনা পেয়েছেন কোপা ট্রফি জিতে, যা দেওয়া হয় তরুণদের সেরা খেলোয়াড়কে।
এবারের ব্যালন ডি’অরে শীর্ষ দশে থাকা আরও চারজনই পিএসজির—ভিতিনিয়া (তৃতীয়), আসরাফ হাকিমি (ষষ্ঠ), জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (নবম) ও নুনো মেন্ডেস (দশম)।
লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ হয়েছেন চতুর্থ এবং চেলসি তারকা কোল পালমার অষ্টম। গতবারের বিজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি এবার চোটের কারণে শর্টলিস্টেই জায়গা পাননি।