spot_img

ইসরায়েলের কাছে আটক ছেলের মরদেহ, কবর দেয়ার অপেক্ষায় ফিলিস্তিনি মা জামিলা

অবশ্যই পরুন

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি সেনারা মাহমুদ সানাকরাকে গুলি করে নিয়ে যায়। সেই থেকে তার মা এখনো অপেক্ষায় আছেন ছেলের মরদেহ ফেরত পাওয়ার জন্য।

৬৭ বছর বয়সী জামিলা সানাকরার তিন ছেলে। সবাই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তার দুই সন্তানকে ইসরায়েল হত্যা করেছে, তা তিনি নিশ্চিত জানেন। তবে, তৃতীয় ও সবচেয়ে ছোট ছেলে মাহমুদকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে, নিজ ঘরে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এরপর সেনারা তাকে নিয়ে যায়, আর কখনো পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়নি।

তিনি এখনো জানেন না ছেলে বেঁচে আছে, নাকি মৃত। অনিশ্চয়তা তার শোক আর মানসিক যন্ত্রণাকে আরও গভীর করেছে।

‘ফিলিস্তিনি মায়েরা তাদের সন্তানকে দুইবার বয়ে নিয়ে যায়—একবার গর্ভে, আরেকবার জানাজার মিছিলে,’ নিজের বাড়িতে বসে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন জামিলা।

প্যালেস্টাইনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর দ্য রিকভারি অব মার্টার্স’ বডিজ-এর তথ্য অনুযায়ী, মাহমুদ সম্ভবত সেই ২ হাজার ২২০ জনের একজন, যাদের মরদেহ দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে নিয়ে ইসরায়েল সংরক্ষণ করে রেখেছে—ফ্রিজে বা নাম্বারকৃত কবরস্থানে।

জেরুজালেম লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সেন্টার (জেএলএসি) বলছে, ইসরায়েল এভাবে মরদেহ আটকে রাখাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রিয়জনকে শেষবার বিদায় জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।

অসংখ্য ফিলিস্তিনি মায়ের মতোই জামিলাকেও বঞ্চিত করা হয়েছে—শেষ ছেলেকে কবর দেয়ার সুযোগ থেকে। তিনি কবরস্থানে একটি কবর বানিয়ে রেখেছেন এবং আশা করছেন হয়তো তার ছেলের মরদেহ ফিরে পাবেন এবং দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।

সূত্র: আল জাজিরা।

সর্বশেষ সংবাদ

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের

এশিয়া কাপে সুপার ফোর পর্বের শুরুটা রোমাঞ্চ ছড়ানো এক জয় দিয়ে করল বাংলাদেশ। দুবাইর আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ বলে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ