spot_img

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে রোনালদোর দেশ

অবশ্যই পরুন

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। খবর আল জাজিরার।

এর একদিন পরই নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়া হবে।’

স্থানীয় দৈনিক কোরেইও দা মানহা-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় পর্তুগাল। প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো প্রেসিডেন্ট ও সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। ২০১১ সালে বামপন্থি রাজনৈতিক দল লেফট ব্লক প্রথমবারের মতো এ প্রস্তাব সংসদে তোলে।

এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো, যখন জাতিসংঘের এক ঐতিহাসিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন গণহত্যার সামিল। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১ জন নিহত ও এক লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন আহত হয়েছেন। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত জুলাই মাসে পর্তুগাল প্রথমবারের মতো জানায়, চলমান সংঘাত, মানবিক সংকট এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বাড়ানোর হুমকির কারণে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এর আগে, শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এক উপদেষ্টা জানান, ফ্রান্সের পাশাপাশি অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও সান মারিনোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এই সম্মেলনটি সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করছে ফ্রান্স।

কানাডা ও যুক্তরাজ্যও একই ঘোষণা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে, যা মোট সদস্যের ৭৫ শতাংশ।

পর্তুগাল শুক্রবার জাতিসংঘের এক প্রস্তাবেও ভোট দেয়, যেখানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভিডিও বার্তা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, নাউরু, পালাউ ও প্যারাগুয়ে এর বিরোধিতা করে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে ‘বেপরোয়া পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে বলেন, এটি ‘শুধু হামাসের প্রচারণাকে সহায়তা করবে’।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ গত বছর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে যে দেশই স্বীকৃতি দেবে, পশ্চিম তীরে একটি করে নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তোলা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের

এশিয়া কাপে সুপার ফোর পর্বের শুরুটা রোমাঞ্চ ছড়ানো এক জয় দিয়ে করল বাংলাদেশ। দুবাইর আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ বলে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ