spot_img

গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রভাবশালী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের কড়া অভিযোগ

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই হত্যাযজ্ঞে ‘সহযোগিতার’ অবসান ঘটানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। খবর আল জাজিরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ‘উদ্দেশ্য পরিষ্কার। ফলাফল অনস্বীকার্য: গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।’

এই বক্তব্য আসে একদিন পর, যখন জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন একটি বিস্তৃত প্রতিবেদনে জানায় যে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।

বার্নি স্যান্ডার্স আরও বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের গাজাকে ‘ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন’ করার আহ্বান, ব্যাপক প্রাণহানি এবং সেখানে দুর্ভিক্ষের প্রকোপ—সবই প্রমাণ করে যে একটি জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে।

বার্নি স্যান্ডার্স হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের প্রথম সদস্য, যিনি ইসরায়েলের অভিযানকে সরাসরি গণহত্যা বলে উল্লেখ করলেন। এর আগে প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন সদস্য এমন মন্তব্য করলেও, সিনেটের এটাই প্রথম অবস্থান।

জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, গণহত্যা হলো—‘এমন কার্যকলাপ যা আংশিক বা পুরোপুরি একটি জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।’ এর মানে শুধু যুদ্ধাপরাধ নয়, বরং একটি গোষ্ঠীকে অস্তিত্বহীন করে তোলার প্রচেষ্টাও।

বার্নি স্যান্ডার্স আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয় আরও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ও অস্ত্র সরবরাহ করে নেতানিয়াহুর এই গণহত্যামূলক সরকারকে সমর্থন দেওয়া।’

তিনি আহ্বান জানান, এখন, যখন আমরা এটিকে গণহত্যা বলে স্বীকার করছি, আমাদের উচিত আমাদের সব কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি আদায় করা, জাতিসংঘের মাধ্যমে বিপুল মানবিক সহায়তা পাঠানো এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া।

স্যান্ডার্স সতর্ক করে বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে, তা শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বকে এক ধরনের নিষ্ঠুরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো—এই বর্বরতার বিশ্বে রূপান্তর ঠেকানো, যেখানে মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ নির্লজ্জভাবে ঘটানো হয়।’

স্বতন্ত্র রাজনীতিক হলেও ডেমোক্রেটদের সঙ্গে যুক্ত বার্নি স্যান্ডার্স এর আগে গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করতে দ্বিধা করেছিলেন, কারণ এটি একটি ‘আইনি শব্দ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। গত মাসে সিএনএন-কে তিনি বলেছিলেন, ‘মূল কথা এটি কী নামে ডাকা হচ্ছে না, মূল কথা হলো—আমরা এর বিরুদ্ধে কী করব?’

তবে অনেক সমর্থক সেই সময় তার মন্তব্যে হতাশ হন। বুধবারের নতুন বিবৃতি সেই অবস্থান থেকে দৃশ্যত সরে আসা এবং বর্তমানে মানবাধিকার সংস্থা, গবেষক ও জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে তার অবস্থানকে একত্র করেই দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বিএনপি: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ