spot_img

ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনতে ওয়াশিংটনের চাপ

অবশ্যই পরুন

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। এই চুক্তির মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে দখল করা ভূমি থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ১৯৭৪ সালের অস্ত্রবিরতি অনুযায়ী একটি নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে দামেস্ক।

এদিকে ওয়াশিংটন চায়, চলতি মাসের শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের পূর্বে চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অগ্রগতি হোক, যাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি জাতিসংঘের অধিবেশনে তুলে ধরতে পারে।

আলোচনায় নয়জন সূত্রের মধ্যে রয়েছেন সিরিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা, দুই গোয়েন্দা সূত্র ও একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা। তারা জানিয়েছেন, সিরিয়া চায়—ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের অবসান ঘটুক এবং দক্ষিণাঞ্চলে শান্তি ফিরুক। তবে ইসরায়েলের অবস্থান বেশ কঠোর।

সাম্প্রতিক সময়ে আবুধাবি, বাকু ও প্যারিসে সিরিয়া-ইসরায়েল বৈঠক হয়েছে। তবে পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে একাধিকবার। মার্কিন প্রশাসন চাইছে আব্রাহাম চুক্তির ধারাবাহিকতায় আরও আরব দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করতে।

আলোচনার একটি বড় বাধা হলো গোলান মালভূমি। সূত্রগুলো জানায়, ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদেও গোলান ফেরত দিতে আগ্রহী নয়। বরং তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে দামেস্ক গোলান ছেড়ে দিক। তবে সিরিয়া গোলান মালভূমি ছাড়তে সন্মত নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ইসরায়েলি দখল সিরিয়ার অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে। তবুও দামেস্কের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সীমিত নিরাপত্তা চুক্তি জরুরি হয়ে পড়েছে।

ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ সিরিয়ায় বাফার জোন বজায় রাখছে, সীমান্তে অভিযান চালাচ্ছে এবং নতুন অবস্থান থেকে নজরদারি করছে। এতে সিরিয়ার জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।

সর্বশেষ সংবাদ

আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

সমীকরণের মারপ্যাঁচ। সেখানে থেকে যেনো বেরই হতে পারে না বাংলাদেশ। কিন্তু তবুও আজ শেষ রক্ষা হয়েছে লঙ্কানদের জয়ে। বৃহস্পতিবার (১৮...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ