spot_img

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি

অবশ্যই পরুন

নেপালে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে জেন-জেড প্রজন্মের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ক্ষুব্ধ তরুণেরা এখন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। বুধবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি নেতৃত্বে আসবেন না। নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কারণেই সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি নেপালের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি এবং সর্বদা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকেছেন।

এই প্রস্তাব এমন সময়ে এসেছে, যখন তরুণদের নেতৃত্বে চলা আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। সরকারের প্রস্তাবিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিণত হয় সহিংসতায় এবং শেষ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ক্ষুব্ধ জনতা পরে পার্লামেন্ট ভবন, প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ রাজনৈতিক দল ও শীর্ষ নেতাদের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে।

সুশীলা কার্কি কে?

সুশীলা কার্কির জন্ম ১৯৫২ সালের ৭ জুন, নেপালের বিরাটনগরে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। ১৯৭২ সালে বিরাটনগরের মহেন্দ্র মরাং ক্যাম্পাস থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৫ সালে ভারতের বারাণসীর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

আইনজীবী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৯ সালে বিরাটনগরে। পাশাপাশি, ১৯৮৫ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। ২০০৭ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। এরপর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে অ্যাড-হক বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি স্থায়ী বিচারপতির পদে উন্নীত হন। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৭ জুন ২০১৭ পর্যন্ত তিনি নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন।

তাঁর বিচারিক জীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ রায় এসেছে, বিশেষ করে ট্রানজিশনাল জাস্টিস ও নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে। যদিও ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়, প্রবল জনচাপ ও আদালতের নির্দেশে তা পরে প্রত্যাহার করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নেপালি কংগ্রেসের নেতা দুর্গা প্রসাদ সুবেদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। বারাণসীতে শিক্ষাজীবনে থাকাকালে তাঁদের পরিচয় হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাবাহিনীর পোশাকে ধরা দিলেন সালমান খান!

বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম একজন সালমান খান। বর্তমানে এই নায়ক আসন্ন নতুন সিনেমা ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’র শুটিং নিয়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ