যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কির্ক ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। চার্লি কির্ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল কর্মী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র।
তার মৃত্যুর ঘটনায় খুবই হতাশ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এটা আমেরিকার জন্য অন্ধকার মুহূর্ত।’ হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার মাত্র ৩১ বছর বয়সে কির্ক টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ নামক সংগঠনের একটি কলেজ ইভেন্ট পরিচালনা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই সংগঠনটি তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঘটনাস্থলে তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা নিরাপদ আছেন; আর কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
একজন স্থপতির ছেলে কির্ক বড় হয়েছেন শিকাগোর অভিজাত উপশহর প্রসপেক্ট হাইটসে। তিনি শিকাগোর একটি কমিউনিটি কলেজে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু রাজনীতিতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার জন্য পড়া ছেড়ে দেন।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ প্রতিষ্ঠা করেন, যার লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থী কলেজগুলোতে রক্ষণশীল মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া।
গত বছরের নির্বাচনে ট্রাম্প এবং অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের জন্য ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কির্ককে বহু নতুন ভোটার নিবন্ধন করানো এবং অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত পরিবর্তনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রশংসা করা হয়।
কির্ক ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য এবং কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ে সংশয়বাদী অবস্থানের জন্যও পরিচিত ছিলেন। ২০২০ সালে, তিনি প্রকাশ্যে সেই ভুয়া দাবি প্রচার করেন যে, জো বাইডেনের জয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে।
গত রাতেই ট্রাম্প “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ কির্ককে স্মরণ করে ট্রাম্প লেখেন, “মহান এবং এমনকি কিংবদন্তীতুল্য চার্লি কির্ক এখন আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের যুব সমাজের হৃদয়কে কেউ এতটা ভালোভাবে বুঝত না যতটা চার্লি বুঝত।”