দাঁতের সুস্থতা ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধে শুধু দিনে দুইবার ব্রাশ করাই যথেষ্ট নয়—এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁতের মাঝখানে আটকে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে ডেন্টাল ফ্লসিং বা ওয়াটার ফ্লসার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে তেল কুলকুচি দাঁতের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে কার্যকর বলে দাবি করছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
তাদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন দিনে দু’বার ব্রাশ করলেই দাঁত পুরোপুরি পরিষ্কার থাকে। কিন্তু বাস্তবে ব্রাশ দাঁতের কেবল বাইরের অংশ পরিষ্কার করে। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা কণা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়, যা থেকে ক্যাভিটি, মাড়ির সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।
এ কারণে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন দন্ত চিকিৎসকরা। সাধারণ ফ্লস ব্যবহারে সমস্যা হলে ওয়াটার ফ্লসার ব্যবহার করাও নিরাপদ ও কার্যকর। এটি হালকা পানির চাপের মাধ্যমে দাঁতের মাঝখানের কণা ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে এবং মাড়ির সংবেদনশীলতার ঝুঁকি কমায়। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তেল কুলকুচি কী?
এছাড়া, প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী তেল কুলকুচি (Oil Pulling) একটি পরীক্ষিত প্রক্রিয়া, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নারকেল, তিল বা সরিষার তেল মুখে রেখে ৫-১০ মিনিট কুলকুচি করলে শুধু মুখের দুর্গন্ধই দূর হয় না, মাড়িও মজবুত হয় এবং দাঁতের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ব্রাশ নয়—ফ্লসিং, ওয়াটার ফ্লসার এবং তেল কুলকুচির মতো পরিপূরক পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে দীর্ঘমেয়াদে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ব্যয়বহুল ডেন্টাল ট্রিটমেন্ট থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।