কাতারের দোহায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দোহায় বিস্ফোরণের পর ধোঁয়া দেখা যায়। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা।
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) ও ইসরায়েল গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসএ) জানিয়েছে, তারা হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে একটি ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নেতারা বছরের পর বছর হামাসের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের জন্য সরাসরি দায়ী এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিচ্ছে। হামলার আগে নাগরিকদের ক্ষতি কমাতে সুনির্দিষ্ট বোমা ব্যবহার ও অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আইডিএফ এবং আইএসএ ঘোষণা করেছে, তারা হামাসকে পরাস্ত করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মাজেদ আল আনসারি এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হামলার লক্ষ্য ছিল এমন একটি আবাসিক ভবন যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য বাস করেন।’ কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ধরনের দুঃসাহসী ইসরায়েলি আচরণ সহ্য করবে না এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপকে কোনোভাবে মেনে নেবে না। খবর বিবিসির।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ছবিতে দেখা যায়, দোহা শহরে বিস্ফোরণের পরে ধোঁয়া উড়ছে। ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে হামলা এখনও অব্যাহত।
এর আগে চলতি বছরের জুনে কাতারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। দোহায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল তেহরান। এই হামলার পর, দোহায় একটি শপিং মলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রাণ বাঁচাতে ছুটাছুটি করেন।এর আগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপক সামরিক সংঘাত শুরু হয়। ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়। এই সংঘাতে উভয় পক্ষের উল্লেখযোগ্য হতাহতের খবর পাওয়া যায়।