নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার পদত্যাগের বিষয়টি দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ওলির পদত্যাগের ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন নতুন সরকার গঠনে জোটগুলোর মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক দর-কষাকষি শুরু হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় মূলত তরুণরা। দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই এ আন্দোলনের সূচনা। সরকার ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্স (সাবেক টুইটার)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
তবে ততক্ষণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সোমবার কাঠমান্ডুতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয় বলে জানায় পুলিশ। সুনসারি জেলায় আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে শতাধিক পুলিশসহ কয়েকশ মানুষ আহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়েছে। জাতিসংঘ এ ঘটনায় দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন প্রশমনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া এবং সর্বদলীয় সংলাপের ঘোষণা দিলেও জনরোষ প্রশমিত হয়নি। বিক্ষোভকারীরা সরকারি স্থাপনা ও রাজনীতিবিদদের বাড়িঘরে হামলা চালান। নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘নাগরিক হত্যা’র অভিযোগেও অভিযুক্ত করছেন আন্দোলনকারীরা।