মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান গত ৩১ আগস্ট থেকে গোল্ডেন ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দক্ষ পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে ওমান সরকার চালু করেছে ১০ বছর মেয়াদের গোল্ডেন ভিসা। ২০৪০ সালের অর্থনৈতিক ভিশনকে সামনে রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভিসাটি পেলে আপনি ওমানে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকার সুযোগ পাবেন।
যারা এই ভিসা পাবেন
ওমানের গোল্ডেন ভিসা দুটি ভিন্ন শ্রেণির আওতায় প্রদান করা হবে:
১. টায়ার ওয়ান (১০ বছরের জন্য)
* কোনো লিমিটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি, পাবলিক জয়েন্ট-স্টক কোম্পানি বা সরকারি বন্ডে কমপক্ষে ৫ লাখ ওমানি রিয়াল (প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করতে হবে।
* ওমানে কমপক্ষে ৫ লাখ ওমানি রিয়াল মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হবে।
* এমন একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে ন্যূনতম ৫০ জন ওমানি নাগরিকের কর্মসংস্থান হবে।
২. টায়ার টু (৫ বছরের জন্য)
এই ভিসার জন্য যোগ্য হতে হলে একজন বিনিয়োগকারীকে নিম্নলিখিত শর্তগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি পূরণ করতে হবে:
* কোনো লিমিটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি বা পাবলিক জয়েন্ট-স্টক কোম্পানিতে কমপক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার ওমানি রিয়াল (প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করতে হবে।
এই ভিসার জন্য আবেদন খরচ ৩২৬ ওমানি রিয়াল।
গোল্ডেন ভিসাধারীরা তাদের স্ত্রী, সন্তান এবং নিকটাত্মীয়দের জন্যও নবায়নযোগ্য ভিসা পেতে পারেন, যেখানে সংখ্যা বা বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই।
অন্যান্য শর্তাবলী
গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই ২১ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে। পাশাপাশি, আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং কোনো ধরনের অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা চলবে না। এছাড়াও, বৈধ পাসপোর্ট এবং স্বাস্থ্য বিমা থাকা বাধ্যতামূলক।
ওমানে বর্তমানে বসবাসরত প্রবাসী কর্মীরা যদি ওমানেই থেকে যেতে চান, তবে তারা মাসিক ন্যূনতম ৪ হাজার ওমানি রিয়ালের স্থায়ী আয়ের প্রমাণ দেখিয়ে একটি বর্ধিত আবাসিক অনুমতি নিতে পারেন।
গোল্ডেন ভিসার সুবিধা—
দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের অনুমতি, নিজস্ব ব্যবসার মালিকানা ও পরিচালনার অধিকার, ওমানের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি এবং পরিবারের সদস্যদের (যেমন, স্ত্রী এবং সন্তান) জন্য রেসিডেন্সি ভিসা স্পন্সর করার সুযোগ।
সূত্র: গালফ নিউজ