spot_img

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে প্রথম মুসলিম নারী

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শাবানা মাহমুদকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম নারী ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্বে এলেন।

সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভায় বড় রদবদলের অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন আসে। পূর্বে বিচারমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শাবানা এখন থেকে হোম সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হিসেবে কাজ করবেন।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিক শাবানা মাহমুদ ইতোমধ্যে অভিবাসন, পুলিশিং এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দৃঢ় নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবার তিনি যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এলেন, যা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও অভিবাসন নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্রিটিশ হোম অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিকে রক্ষা করেছেন। আজ আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। আমরা নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে স্বাগত জানাই।

দায়িত্ব পেয়ে শাবানার প্রতিক্রিয়া

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে শাবানা মাহমুদ বলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের এক বিরাট সম্মান। সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমি প্রতিদিন সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব।

শাবানা মাহমুদের নিয়োগকে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় একজন মুসলিম নারীকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া যুক্তরাজ্যের বহুসাংস্কৃতিক সমাজের প্রতিফলন।

কে এই শাবানা মাহমুদ?

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হলেও শাবানা মাহমুদ জন্মসূত্রে একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ১৯৮০ সালে বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী শাবানা তার শৈশবের কিছু অংশ যুক্তরাজ্য এবং সৌদি আরব উভয় দেশেই কাটিয়েছেন। অক্সফোর্ডের লিংকন কলেজে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি ব্যারিস্টার হিসেবেও অনুশীলন করেছেন কিছুকাল।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বার্মিংহাম লেডিউডের পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচিত হন শাবানা মাহমুদ। তিনি লেবার পার্টির নেত্রী হিসেবে ক্রমাগত এগিয়ে যেতে থাকেন এবং একসময় ছায়া মন্ত্রিসভা এবং সরকার উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

বিচারমন্ত্রী এবং লর্ড চ্যান্সেলর থাকাকালীন কারাগারের ভিড় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন করেন তিনি, যার মধ্যে ছিল ‘আগাম মুক্তি কর্মসূচি’। সাজা সুরক্ষা এবং মানবাধিকার আইনের বিষয়েও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।

সূত্র: জিও টিভি

সর্বশেষ সংবাদ

আসছে ‘পুষ্পা থ্রি’, জানালেন পরিচালক

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে 'পুষ্পা' ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি 'পুষ্পা ৩ : দ্য র‍্যাম্পেজ' আসছে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন সিনেমার পরিচালক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ