রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল পাগলের দরবারে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন—গোয়ালন্দের দেওয়ানপাড়া এলাকার আবজাল সরদারের ছেলে মো. শাফিন সরদার (১৯), বালিয়াডাঙ্গা এলাকার লাল মিয়া মৃধার ছেলে হিরু মৃধা (৪০), দক্ষিণ উজানচর এলাকার আক্কাস মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধা (২৯), দেওয়ানপাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি (৩২) এবং কাজীপাড়া এলাকার আরিফ কাজীর ছেলে মো. অপু কাজী (২৫)।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০-১২ জন সদস্য আহত হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, ‘শরিয়তবিরোধী কবর’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরুল পাগলার দরবারে হামলা চালায় তৌহিদী জনতা। এ সময় সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কবর খুঁড়ে নুরুল পাগলার মরদেহ উত্তোলন করে মহাসড়কের ওপর এনে পুঁড়িয়ে দেয়।