অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ক সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তবে সীমিত ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেও টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। জানিয়েছেন, শরীরকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ফরম্যাটে আরও সফলতা পেতে চান এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার লক্ষ্য স্থির করেছেন।
স্টার্ক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, টেস্ট ক্রিকেটই তার প্রথম অগ্রাধিকার।
এজন্যই অন্য ফরম্যাটের একটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমি চাই না দলের জায়গা আটকে রাখতে। ওয়ানডেতে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। টেস্ট সবসময়ই আমার অগ্রাধিকার ছিল, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।’
আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), ভারতে অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ এবং দুই বছর পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে লক্ষ্য রেখেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি পেসার ইতোমধ্যে তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে (২০১৫, ২০১৯, ২০২৩) ৬৫টি উইকেট শিকার করেছেন। তার ওপরে আছেন কেবল গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) ও মুত্তিয়া মুরালিধরন (৬৮)।
ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার সুযোগ পেলে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ বোলার হিসেবেই ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছেড়ে দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টার্ক জানান, অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোয়াডে যথেষ্ট বিকল্প পেসার আছে। নাথান এলিস, বেন ডোয়ারশুইস, স্পেন্সার জনসন ও শন অ্যাবটদের পারফরম্যান্সে তিনি ভরসা রাখছেন।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি দলটা এখন বেশ গুছানো। নাথান এলিস দারুণ করছে, বেন ডোয়ারশুইস ভালো ভূমিকা রাখছে, স্পেন্সার জনসন সুযোগ পেলে ভালো করছে, শন অ্যাবটও আছে… আমি মনে করি দলটা দারুণ অবস্থায় আছে, তাই আমার আর সেখানে হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই।’
আগামী দিনগুলোতে তিনি ভারত সফরের ওয়ানডে সিরিজ ও ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে খেলার দিকেই নজর রাখছেন। বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ টেস্টের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।