ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোতে নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে আপিলের শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত আদেশ আসে।
আর তাতে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বরেই হবে ভোটগ্রহণ, আর কোনও আইনি বাধা রইলো না।
ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী ও শিবির নেতা এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেছিলেন। আর সেটির শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন।
তবে, এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক আপিল করলে ঘণ্টাখানেকেরও কম সময়ের মধ্যে স্থাগিতাদেশটি আটকে যায় চেম্বার আদালতে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আদেশ দেন, আজ বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানি হবে এবং হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে এদিন পর্যন্ত।
এদিকে, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এস এম ফরহাদের ডাকসু নির্বাচন করতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার কারণে কারও প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, এটা ভুল তথ্য। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিজারের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার ১০টির মতো প্যানেল দেয়া হয়েছে।
এই নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া, ১৮টি হলের ১৩টি পদে মোট এক হাজার ৩৫জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।