আকাশপথের পরিবর্তে বিশেষ ট্রেনে চড়ে চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পিয়ংইয়ং সময় দুপুরে বুলেটপ্রুফ ট্রেনটিতে যাত্রা শুরু করেন কিম। খবর বিবিসি’র।
ধারণা করা হচ্ছে- প্রায় ২০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে ট্রেনটি মঙ্গলবার বেইজিং পৌঁছাবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আকাশপথের পরিবর্তে ট্রেন যাত্রা বেছে নেন কিম জং উন। তার ব্যক্তিগত ট্রেনের নাম তেয়াং-হো। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত যানটিতে রয়েছে শক্তিশালী আর্মর সিস্টেম, অনবোর্ড মর্টারসহ রাডার ফাঁকি দেয়ার সক্ষমতা। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিতে ছুঁটতে পারে ট্রেনটি।
কিমের এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ এতে তিনি ২৬ দেশের নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবেন। এর মধ্যে রাশিয়া, ইরান ও মিয়ানমারের মতো নিষেধাজ্ঞাগ্রস্ত রাষ্ট্রও রয়েছে, তবে পশ্চিমা দেশের কোনো নেতা থাকছেন না। বুধবার তিনি শি ও পুতিনের সঙ্গে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের রোস্ত্রামে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করবেন।
নিরাপত্তার কারণে কিম আকাশপথের পরিবর্তে প্রায় ২০ ঘণ্টার ট্রেনযাত্রাকেই বেছে নিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ট্রেনটির নাম ‘তেয়াং-হো’, কোরিয়ান ভাষায় যার অর্থ ‘সূর্য’এটি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংকে প্রতীকীভাবে স্মরণ করে রাখা হয়েছে।
এর আগেও বিশেষ ট্রেন ব্যবহার করে বেইজিং, হ্যানয়, ভ্লাদিভস্তক সফর করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।