spot_img

রোগীর সেবায় কল্যাণের দ্বার খোলে

অবশ্যই পরুন

রোগ-ব্যাধি মানুষের জীবনের অংশ। এগুলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। কারো কারো জন্য রোগ-ব্যাধি নিছক অসুস্থতা আবার কারো কারো জন্য গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মাধ্যম। দুনিয়া-আখিরাতে মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যম। কেউ রোগে আক্রান্ত হলে অপর মুসলমানদের দায়িত্ব হয়ে যায়, তার শুশ্রুসা করা। তার খোঁজ-খবর নেওয়া। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। …অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং ৫. জানাজার সঙ্গে শরীক হওয়া।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৫৪৩)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাত করো এবং বন্দীকে মুক্ত করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩১০৫)

ফলে কেউ যদি কোনো অসুস্থ রোগীকে দেখতে যায়, তার খোঁজ নেয় তবে ইসলামের দৃষ্টিতে একদিকে সে যেমন অপর মুসলমানের হক আদায় করল, তেমনি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় করে থাকলে অফুরন্ত সওয়াবের অংশীদার হলোও বলা যায়। কেননা হাদিস শরীপে রোগীকে দেখতে যাওয়াকে জান্নাতের ফল সংগ্রহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (রুগ্ন) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস ; ৯৬৭)

এছাড়াও আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কোনো রোগীকে দেখতে গেলে ফেরেশতাদের দোয়া পাওয়া যায়। সুওয়াইর (রহ.) থেকে তাঁর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার হাত ধরে আলী (রা.) বললেন, আমার সাথে চল, অসুস্থ হুসাইনকে দেখে আসি। আমরা তার নিকটে গিয়ে মুসা (রা.)-কে হাজির পেলাম। আলী (রা.) বললেন, হে আবু মুসা! আপনি কি রোগী দেখতে এসেছেন না এমনি বেড়াতে এসেছেন? তিনি বলেন, না, রোগী দেখতে এসেছি। আলী (রা.) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি, কোনো মুসলমান যদি অন্যকোনো মুসলিম রোগীকে সকাল বেলা দেখতে যায় তাহলে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। সে যদি সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যায় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরী হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৯)

এখানেই শেষ নয়, দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ লাভেও এই আমল খুব কার্যকরী। কেননা কোনো মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অন্য অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, তখন ফেরেশতারা তার ইহাকালীন ও পরকালীন কল্যাণের জন্য দোয়া করে। তাকে জান্নাতের বাসস্থানের সুসংবাদ দেয়।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে লোক আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি হাসিলের আশায় কোন অসুস্থ লোককে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সাথে দেখা-সাক্ষাত্ করতে যায়, একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকেন, কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০০৮)

তাই আমাদের উচিত, আমাদের কোনো মুমিন ভাই অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সাধ্য মতো তার সেবা করার চেষ্টা করা।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হলো পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যদের তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে বড় শট খেলায়, পুরুষ ও নারী উভয় দলের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ